প্রতিবেশিনী হওয়ার সুযোগে
আমাদের বাসায় ছিলো,তোমার অবাধ যাতায়াত
বাসার সবার সাথেই তোমার কমবেশি সখ্যতা,
ঘরের চড়ুইপাখী, একুরিয়ামের রঙিন মাছ,প্রিয় ময়না
সবই ভীষণ চেনা ছিলো তোমার,
মায়ের সাথে গল্পে মেতে উঠতে তুমি কারণে অকারণে…….
গল্পের ফাঁকে ফাঁকে আমার রুমের দিকে তোমার উঁকি মারা
এড়ায়নি আমার মায়ের মাঝবয়সী চোখেও…………..
মায়ের চোখ ফাঁকি দিয়ে
কখনো কখনো সীমা ছাড়িয়ে
আমার রুমেও পৌঁছে গেছো একদিন
সুকৌশলে দখলে নিয়েছো মায়ের আদরের ছেলেটিকে !
তারপর ?
মায়ের চোখ ফাঁকি দিয়ে কিংবা তার ভাতঘুমের সুযোগে
আমাদের অন্য জীবনের শুরু,শুরু স্বপ্ন দেখার
যেখানে পরস্পরের নির্ভরতা হয়ে বেড়ে উঠছিলাম আমরা..
কথা ছিলা,তুমুল যৌবনে পাড়ি দিবো অথৈ জীবন
কথা ছিলো, ঝুম বর্ষায় আমাদের টিনের চালে বৃষ্টির শব্দেও
তোমার বুকে মাথা রেখে শুনব ভালোবাসার রিনিঝিনি,
কথা ছিলো,কোন এক বৃষ্টির দিনে ছাদে দুজনে ভিজবো তুমুল
ঘর আলো করে আসা উত্তরসুরির নামও ঠিক করেছিলাম ‘অদিতি’।
এরপর ?
হঠাৎ করেই আর তুমি আসোনা
আমিও উঁকি দেইনা তোমাদের জানালায়
কি করে যেনো সব ভুলে এলোমেলো তুমি আমি,
নিদারুন বাস্তবতায় পরস্পরকে ভুলে একাকী আমরা !
শুধু মা’র প্রশ্নের জবাবে, বলেছি-
‘ওর কোন দোষ নেই, আমারই ভালো লাগছেনা ওকে’
মা অভিমানী বেদনাহত চোখে কিছুটা বকাঝকা করে
‘হতচ্ছাড়া’ গালি দিয়ে ফিরে গেছে নিজের কাজে’
মা জানলো না কোনদিন-
কি নীরব বেদনায় নীল আমি,কি ভীষন যন্ত্রনা বয়ে বেড়াই নিশিদিন
তুমিও বুঝলে না কি নিদারুন বাস্তবতায়
তোমাকে ভোলার অভিনয় করে গেছি পুরোটা জীবন !
শুধু, আমি তোমাকে ক্ষমা করিনি আজো
হয়তো তুমিও আমাকে !