ভালোবাসায় ভেজা এক জন্মদিনে…

দূর পাহাড়ের এক বিষন্ন বুনোফুল ফজলে এলাহী। রক্তে মাংসে শিরায় উপশিরায় নিজের শহর,শহরের মানুষ। রক্তে টগবগ করে দ্রোহ। বহুবছর আগের কোন এক আগষ্ট মাসের ৬ তারিখ জন্মেছিলো ঘোরলাগা সন্ধ্যায়। মায়ের কাছে জন্মমুহুর্তের স্পর্ধিত সময়ের গল্প বহুশোনা……সেই ছোট্ট শিশুটি চালশে জীবনে ! বহু জন্মদিনের মতো ২০২০ সালের জন্মদিনও অজস্র ভালোবাসার মানুষের ভালোবাসায় ভিজে,উঞ্চতায়, আলিঙ্গনে, উচ্ছাসে পালিত হয়েছে। কোথাও কোন উৎসব ছিলোনা,কিন্তু নির্জনতায়ও কি দারুন উৎসব হতে পারে হৃদয় থেকে হৃদয়ে তারই নজির দেখলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ! কি লিখেছেন তার প্রিয়জনরা ? মূলত: আনন্দক্ষণের প্রশংসাবাচক সেইসব শব্দকে পাঠবন্দী করার ছোট্ট প্রয়াস এই পোস্ট। কে জানে, এইসব মূল্যায়নই হয়তো একদিন ইতিহাস হবে কিংবা বাঁক নেয়া সম্পর্কের পুনর্পাঠেও সহায়ক হবে…..

নাজমুল ইসলাম রাজু। রাঙামাটি জেলা প্রশাসনে কর্মরত ছিলেন চাকুরি জীবনের শুরুতেই নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে। বর্তমানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে অন্যত্র দায়িত্ব পালন করা এই কর্মকর্তা ফজলে এলাহীর জন্মদিনে শুভাশীষ জানিয়ে লিখেন-‘জ্ঞানীরা বলেন, প্রথম পোস্টিং প্রথম প্রেমের মতো। এর পর আরও অনেক জায়গাতে পোস্টিং হয় বটে কিন্তু প্রথম পোস্টিং এর রেশ আজীবন রয়ে যায়।

ফজলে এলাহী ভাইয়ের সাথে আমার পরিচয় রাঙ্গামাটিতে। সেখানে অবস্থানকালে তাকে আমি পেয়েছি নানা পরিচয়ে। একাধারে সাংবাদিক, সোস্যাল এক্টিভিস্ট, পরিবেশ আন্দোলনের পথিকৃৎ। এক সময়ে ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের তুখোড় প্রগতিশীল ছাত্রনেতা।

রাঙ্গামাটির যা কিছু ভালো, যা কিছু অসাম্প্রদায়িক তার সাথেই ফজলে এলাহীর পথ চলা।
রাঙ্গামাটি শিশু পার্ককে অবৈধ দখলদারদের হাত থেকে বাঁচাতে তার দীর্ঘ প্রচেষ্টার কিছুটা স্বচক্ষে দেখেছি। একবার পার্কে অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ কাজে অংশগ্রহণ করে সে কাজে নিজেকে সম্পৃক্ত করার কিছুটা সুযোগ আমার হয়েছিল। এক নির্বাচনের পর রাঙ্গামাটির সুন্দর মুখখানা ছেয়ে গিয়েছিল পোস্টারে। এলাহী ভাই তৎকালীন ডিসি স্যারকে জানিয়েছিলেন। পৌরসভার কর্মীদের দিয়ে নিজে দাড়িয়ে থেকে সেগুলো পরিষ্কার করিয়েছিলাম।
তার সাথে গাছপালা নিয়ে মাঝেমধ্যে আলোচনা হতো, তার ইচ্ছে ছিলো রাঙ্গামাটি শহরটাকে কৃষ্ণচূড়ায় মুড়িয়ে দিতে। তার কিছু কাজ তিনি করেছিলেনও।
ফজলে এলাহীর কবি পরিচয় রাঙ্গামাটি থাকতেই পেয়েছিলাম। তিনি কবি, তিনি রোমান্টিক প্রেমিক কবি।গত সপ্তাহে তাঁর দুটো কাব্যগ্রন্থ হাতে পেলাম। “যে শহরে তুমি নেই” ও শরীরে তোমার ঈশ্বরীর ঘ্রাণ” । ইদের আমেজে কবিতাগুলো পড়ে ফেললাম।আমি বোদ্ধা নই, পাঠক। তাই সাহিত্য সমালোচনা আমার কাজ নয়। তবে পাঠক হিসেবে অনুভূতি প্রকাশ আমি করতেই পারি।

ফজলে এলাহীর কবিতা কাপ্তাই লেকের নীল জলের মতো। পড়ার পর হৃদয়ে কোমল স্পর্শ বুলিয়ে যায়।

কবি লিখেছেন-

আশৈশব টেনেটুনে পাশ করা আমাকে,
তুমি ছাড়া আর কেউ কোনদিন
দেয়নি ‘১০ এ ১০’!
জীবন খাতায় যতই ‘ডাবল শূণ্য’ থাকুক
তোমার কাছেই….

তার কবিতা আমার মনে কোমল ছোয়া দিয়ে গেছে।
আমি ক্ষুদ্র পাঠক বটে তবু কবিকে দিতে চাই দশ এ দশ!

পুনশ্চ: আজ কবি ফজলে এলাহীর জন্মদিন। তাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা। শুভ কামনা সব সময়।

 জসীমউদ্দীন। পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের এই কর্মকর্তা নিজের টাইমলাইনে লিখেন আবেগ আর আশ্লেষেভেজা এক দীর্ঘ মূল্যায়ন‘পরিচয়টা কখন কিভাবে ঠিক মনে নাই। ৯৪ সালে যখন কলেজে একই গ্রুপে ভর্তি হই তখন থেকেই বন্ধুত্ব। এর আগে থেকেই সে নাকি আমাকে চিনতো। আমি ফুটবল খেলতাম, খেলোয়াড় হিসেবেই চিনতো আমাকে সে। বছর খানেকের মধ্যে আমরা খুব ঘনিষ্ট হয়ে পড়ি। তারসাথে আমার অনেক কিছু মিলে যায়। বিশেষ করে গান শোনা, আড্ডা দেয়া, লাইব্রেরীতে বই পড়াসহ দুজনের চিন্তা চেতনার ব্যাপক মিলের কারনে অল্পসময়ে একে অপরের খুব কাছের বন্ধু হয়ে যাই। অমিলটা ছিলো সে তুখোর মেধাবী ছাত্র কিন্তু কোন খেলাধুলা করতো না, রাত ১১ টায় পড়ার টেবিলে বসতো ভোরের আযান পর্যন্ত পড়াশোনা করতো কয়েক ঘন্টা ঘুমিয়ে ৯ টায় কলেজে যেতো অন্যদিকে আমি ছাত্র হিসেবে খুব একটা ভাল ছিলাম না, পড়াশোনাও খুব একটা করতাম না কিন্তু খেলাধুলাটা ঠিকঠাক চলতো। অনেক অনেক রাত একসাথেই কেটেছে, হয়তো তাদের বাসায় নয়তো আমাদের বাসায়। রাত জেগে আমরা বিভিন্ন পরিকল্পনা করতাম। একটা সময় সম্পর্কটা খুব গভীর হয়ে যায়। যা করি দুজনেই একসাথে করা শুরু করি। লাখো স্মৃতি তার সাথে। বিভিন্ন সামাজিক কাজ, প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহন সবকিছু। কোন কারনে রাঙ্গামাটির বাইরে অবস্থান করা ব্যতিত এমন কোন দিন ছিলনা আমাদের দেখা হতো না। এক পর্যায়ে সর্ম্পকটা পারিবারিকভাবেও মজবুত হয়। যেনো একই পরিবারের সদস্য আমরা। বন্ধুত্বের চেয়েও বেশী কিছু। তার সাথে বন্ধুত্ব না হলে আমার জীবনের মোড়টা হয়তো অন্যদিকে ঘুরে যেতো। একসাথে ছাত্রসংগঠন করা, গ্লোবাল ভিলেজ করা, স্কুলবেলা পত্রিকাসহ সামাজিক অনেক কাজে আমি জড়িত হতাম না। তার চেষ্ঠাতেই দেশের একটি জাতীয় পত্রিকায় এবং একটি টিভি চ্যানেলে কাজ করেছি আমি। আমাদের স্বপ্ন ছিলো যৌথ, অনেকদূর একসাথে যাওয়ার কথা ছিলো। দুইবার বিসিএস পরীক্ষা ছাড়া কোনদিন অন্য কোন সরকারী চাকরীর চেষ্ঠা করেনি সে। ২৪তম বিসিএসের ভাইভা ছিল তার চাকরীর জন্য শেষ পরীক্ষা। আমি কোন চাকরীর আবেদন করতে দেখলে সে মন খারাপ করতো। বলতো, তোর কি চাকরীই করতে হবে? ২০০৭ এর শেষের দিকে মিডিয়ার অবস্থা খারাপের দিকেই যাচ্ছিল, টুকটাক টাকা পয়সা যা পাওয়া যেতো তাও বন্ধ হয়ে গেলো। তাকে একদিন রাগ করে বললাম, এমন একটা চাকরি দিলি টাকা পয়সাও বন্ধ হয়ে গেলো। দুইতিন দিন পরে সে আমাকে বলল উন্নয়ন বোর্ডের একটা সার্কুলার আছে পত্রিকায় ঐটা দ্যাখ। পরে ২০০৮ সালের ২৭ এপ্রিল আমি ঐ চাকরীতে যোগদান করি। টানা ১৪ বছর দুজনের একসাথে পথচলায় ছেদ পড়ে। এরপর কেটে গেছে আরো একযুগ। হৃদয়ের টানটা কারোরই কমেনি একটুও। তার জীবনে সে যত বকাঝকা শুনেছে তা আমার কাছেই। কখনো কখনো একগুয়েমি আর কিছু ভুলের কারনে বেশী শোনে (জানি সে এ অভিযোগ স্বীকার করবে না)। সবকিছু নিয়েই তাকে ভাবতে হয়, লিখতে হয়…..যা বিশ্বাস করে তাই লিখে ফেলে…..মাঝে মাঝে খুব অস্থির হয়ে পড়ে……মুক্ত চিন্তার মানুষ সে….অন্যায়, অনাচার, অনিয়ম সহ্য করার ক্ষমতা আল্লাহ তাকে দেয়নি……..দুর্লভ সব ডকুমেন্টের মালিক, অসম্ভব রকমের জেদী, অসীম সাহসী, দুর্দান্ত সৃজনশীল এক মানবিক মানুষ। কিছুদিন ধরেই বলছে তার সাথে আমার গুরত্বপূর্ণ কথা আছে, তার সবকিছু আমাকে বুঝিয়ে দিতে চাই……দুইমাস পর আর সে থাকবে না, চলে যাবে…….আপাতত তার কোন কথা শোনার সময় আমার নাই…..আর তারে বলতে চাই, যেতে চাইলেতো যাওয়া যায়, কিন্তু যাবি কেন?তার সাথে আমার সম্পর্কটা এমন গত ২৬ বছরে কখনো-ই তাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাইনি আমি………….কেমন যেনো ফর্মাল মনে হয়………আজও তার জন্মদিন……………..তবে শুভেচ্ছা জানানোর জন্য নয়………..ইচ্ছে হলো অনেক বছর পর তাকে নিয়ে দুছত্র লিখি তাই লিখলাম………আর উল্টাপাল্টা সিদ্ধান্ত না নেয়ার জন্য প্রাথমিক একটা ওর্য়ানিং দিলাম।’

উত্তম কুমার দাস। মাত্র কদিন আগেই রাঙামাটিতে নেজারত ডেপুটি কালেক্টর(এনডিসি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করে যাওয়া জনপ্রিয় এই কর্মকর্তা এখন সিলেটের একটি উপজেলার এসিল্যান্ড। আবেগ আর ভালোবাসায় তিনি লিখেছেনমাঝে মাঝে ভাবি একটা মানুষ কিভাবে নিজের শহরকে নিয়ে এতো পাগলামি করতে পারে। আবেগ বর্জিত এ যুগে শহর পাগল এমন মানুষ আমি একটাই দেখেছি -ফজলে এলাহী। এই শহরের জন্য যদি কেউ ঘর ছেড়ে সন্ন্যাসী হতে পারে তবে সেটা আপনি। রাংগামাটি রণ করেন, অন্তরে লালন করেন, আপনার শৈশব, কৈশোর, প্রেম এই শহর। বলা ‘আপনিই এই শহর’ শুভ জন্মদিন বোহেমিয়ান।’

ফওজিয়া খান। পেশায় শিক্ষক এই বন্ধু তার বন্ধুর জন্মদিনে নিজের ভালোবাসা জানিয়েছে যেনো বুকের গভীর থেকেই। সে লিখেছে-‘শুভ জন্মদিন এলাহী। ? আমি ফওজিয়া খান।বোরিং আর কাঠখোট্টা টাইপের মেয়ে হওয়াতে কেউ কখনো ফান করে আমাকে অন্য নামে ডাকেনি।কিন্তু এখন আমার অনেক নাম- ৪জি (ফোরজি), ফৌজি,ফুজি, বিবিসি,মহারানী। সবাই আমাকে বেশ গালিও দেয়।মনে উৎফুল্লতা থাকলে – গালি, ভেংগানো নাম,সবই ভালো লাগে। এই বোরিং মেয়েটাকে উৎফুল্লতায় ভরে দেওয়া মানুষটি হচ্ছে – ফজলে এলাহী। আজ তার জন্মদিন। তাকে কি বলে শুভেচ্ছা জানাব- বুঝতে পারছি না। শুধু বলব- ভীষণ অসম্ভব রকম ভালোবাসি তোকে।সব সময় এই রকমই থাকিস।আমাদের মাতিয়ে রাখিস ।’

জাহেদ রুবেল। পেশায় সাংবাদিক,কালেরকন্ঠের মফস্বল সম্পাদক। নিজের ছোটবেলার বন্ধুর জন্মদিনে ছোট্ট বাক্যে জানিয়ে দিয়েছে নিখাদ ভালোবাসা-‘সাহসী ফজলে, ছুটে চলরে…শুভ দিনে ছায়া বন্ধুর ভালোবাসা।’

সেলিনা সুমি।সহধর্মিনীর চেয়েও বন্ধুই বেশি। পেশায় নদী গবেষক। অজস্র মানুষের ভালোবাসায় মুগ্ধ হয়ে সে লিখেছে-ফজলে এলাহী তোমার জম্মদিন পাহাড়ে এক উৎসব যেন… টাইমলাইন জুড়ে সবার আস্থা, ভালবাসা, নির্ভরতা, আপোষহীনতা আর বন্ধুত্বের ছোট ছোট গল্প… তুমি এমন সব গল্পে ভিজে ভিজে আরো প্রানবন্ত হও…’

রাজীব ঘোষ রায়। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত রাঙামাটির এই তরুণ লিখেছেন-‘শুভ জন্মদিন দাদা……বিশেষণ লেখার দরকার মনে করছি না। যেভাবে আছেন জাস্ট সেভাবেই থাকেন সারাজীবন।’

ফিরোজ আল মাহমুদ সোহেল। রাঙামাটি পৌরসভার স্যানিটারি ইন্সপেক্টর। বন্ধু লিখেছে বন্ধুর জন্মদিনে-‘হয়তো পথের কিছুটা অমিল ছিলো,মতের অমিল কখনো ছিলোনা সেই ৯৪ সাল থেকে এখনো আছি,,,,,ফজলে এলাহী শুভ জন্মদিন।’

আকতার হোসেন। বন্ধু ও আমেরিকা প্রবাসী। হৃদয় উজার করে জানিয়েছে ভালোবাসা-‘এলাহীর সাথে এটি আমার সংগ্রহে থাকা সবচেয়ে ভাল ছবি তাই জন্মদিনে এটাকেই যতোপোযুক্ত ব্যবহারে শরনাপন্ন হলাম,জন্মদিনকে উপলক্ষ্য করে দুএকটি কথা না লিখলেই নয়.এলাহী তখন রাংগামাটি সরকারী কলেজ ছাএ ইউনিয়নের সভাপতি এবং মহান শিক্ষা দিবস উপলক্ষ্যে ১৭ই সেপ্টম্বর প্রতিবছর ‘শৃংখল’ নামে একটি প্রকাশনার বের হতো কিন্তু সেবছর এলাহীর প্রচন্ড জ্বর হল(ম্যালেরিয়া) যার কারনে তার সম্পাদনায় বিশেষ প্রকাশনার সম্পাদকীয় লেখার দায়িত্ব জেলা কমিটি আমাকে দিল যদিও আমি এলাহীর সাথে দেখা করে সেটি কনর্ফাম করি সে থেকে তার সাথে আমার সহযোদ্ধা হিসেবে ঘনিষ্ঠতা শুরু.পরবর্তীতে শোভন চাকমা চিকিৎসা তহবিল,গ্লোবাল ভিলেজ, রাংগামাটি পার্ক বাঁচাও আন্দোলন, ডিবেট,বাস যাএী অধিকার আন্দোলন,খেলাঘর,বিজয় মেলা সহ জেলার অসংখ্য সাংস্কৃতিক এবং সামাজিক আন্দোলনে এক সাথে কাজ করেছি.সামাজিক দায়িত্ববোধের কারনে শহর এবং জেলাতে যারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এখনো রাংগামাটিকে ‘প্রিয়তমা’ ভেবে নিরবে সামাজিক আন্দোলন করে যাচ্ছে বর্তমান সময়ে ‘এলাহী’ তাদের মধ্যে অন্যতম সংগঠক.পাবর্ত্য অন্চলের সবচেয়ে জনপ্রিয় দৈনিক পএিকাটি তার সম্পদনায় প্রকাশিত হচ্ছে.অনেক বিশেষনে যাকে বিষেশিত করা যায় সে প্রিয় এলাহীর জন্মদিনে অফুরান ভালবাসা সহ শতায়ু কামনায়?❤️

সুলতানা খুকী। ছোটবোন। বড়ভাইয়ের জন্মদিনে লিখেছে-‘শুভ জন্মদিন জুরান জারিফের বড় মামা…তাহারা অনেক খুশি বড় মামার জন্মদিন নিয়ে…..পৃথিবীতে আবারও যদি আসি আমি তোমার বোন হয়ে আসতে চাই কারণ তুমি ছাড়া আর কেউ আমার এতো জ্বালানো সহ্য করবে না তুমি কি জানো তুমি পৃথিবী সেরা বড় ভাই আমার .. আমাকে দেখলেই নাকি বুঝে যায় আমি এলাহীর বোনশুভ জন্মদিন ভাইয়া অনেককক অনেককক ভালোবাসি…..ভালো থেকো তুমি সবটা সময়…..

সাইফুল ইসলাম শাকিল,রাঙামাটি জেলা যুবদলের সভাপতি, লিখেছেন-‘মানুষের আস্থা ও ভালোবাসায় তোমাতে তুমি। তোমার সাহসী লেখানিতে কেউ কেউ হয়তো ক্ষুব্ধ হয়, মাঝে মাঝে আমিও হই, তবে বৃহত্তর অংশ উচ্চসিত হয়, তুমি তাদের দলেই থাকিও আজীবন।শুভ জন্মদিন প্রিয় ভাই ফজলে এলাহী।’

প্রকাশ চাকমা। সাধারন সম্পাদক রাঙামাটি জেলা ছাত্রলীগ। তিনি লিখেছেন-‘পার্বত্য গণমানুষের স্বার্থে/প্রিয় রাঙ্গামাটির পক্ষে…..একজন আপোষহীন সাহসী কলম যোদ্ধা,গণমাধ্যমে সক্রিয়দের একজন,আলোচিত/প্রশংসিত
অনলাইন দুনিয়ার অন্যতম নেটিজেনফজলে এলাহী ভাই, আমৃত্যু ভালোবাসা রইলো….।। ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন সবসময়।’

স্নেহাশীষ চক্রবর্তী।রাঙামাটি মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের আহ্বায়ক,লিখেছেন-‘শান্তির পাহাড়ে অনেক অপূর্ণতাকে পূরণ করার এক অদম্য স্বপ্নবাজ মানুষ ইনি। রাঙ্গামাটির অপ্রাপ্তি গুলো নিয়ে রাত বিরাতে উনার সাথেই সবচেয়ে বেশি কথা হতো,হয়। স্বপ্নগুলো এভাবে পুষে রাখেন। দেখা হোক বিজয়ে। অবহেলিত পাহাড়ের গল্পগুলো নিয়ে লড়াইটা জারি রাখেন। জন্মদিন গতকাল ছিলো, কিন্তু আমাদের সম্পর্কটা হয়তো কোন উপলক্ষের নাহ।
ভালো থাকবেন প্রিয় এলাহী ভাই

দীপন ঘোষ। হিল ইয়োগা ইন্সটিটিউট এর প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক। নিজের টাইমলাইনে ফজলে এলাহীর ৩৫ টি ছবি,প্রতিটি ছবিতেই পৃথক পৃথক ক্যাপশন যোগ করে বড্ড ভালোবাসায় জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন-‘রাঙ্গামাটি শহরের প্রিয় একজন মানব সৃষ্টির জন্য জন্মদাতা মাতা পিতাকে জানাই প্রনাম। জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাই কর্ম ব্যস্ত মানুষটিকে।প্রতিদিন হোক আনন্দময়,কর্ম ব্যস্ততা হোক নিত্যানন্দ।
শুভ হোক আগামী জনাব ফজলে এলাহী। সম্পাদক দৈনিক পার্বত্য চ্ট্টগ্রাম, রাঙ্গামাটি। ছবি,  প্রিয় এলাহী ভাইয়ের পিতা ও মাতা ও ফজলে এলাহী ’

দীপ্ত চৌধুরী তন্ময় । ছোটভাইটা লিখেছে-‘শুভ জন্মদিন নিরেপক্ষ সাংবাদিকতার অন্যতম আইকন সবুজ পাহাড়ের রত্ন বটবৃক্ষ ফজলে এলাহী ভাই শ্রদ্ধা ভালবাসা আপনার প্রতি আজীবনের।ভাল থাকবেন সব সময়।’

রুবি আক্তার। এক ছোটবোন । তার ভাইয়ের জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানিয়ে লিখেছে-‘শুভ জন্মদিন প্রিয় মিষ্টি হাসিওয়ালা ভাই ???শুভ জন্মদিন কবি ভাইয়াহাজার বছর বেঁচে থাকেন আমাদের মাঝে প্রকৃতি সবুজের মাঝে এই হাসি আর ভালোবাসা নিয়ে

শাফায়েত লিটু। ছোটভাই বড়ভাইকে শুভেচ্ছা জানিয়েছে-‘আমার যেকোন সমস্যার শেষ ঠিকানা বলেই বিপদে ও দুঃসময়ে দুনিয়ায় আমার যাকে বেশি মনে পরে আজ সেই ভাইয়ের জন্মদিন। “শুভ জন্মদিন” ভাইয়া। জীবনের বাকিটা সময় যেন নিজের মতো করে কাটাতে পারেন সেই দোয়া কামনা করছি ‘

মো: নাজিমুল হক। সামাজিক সংগঠন স্বপ্নবুনন এর সংগঠক। তিনি লিখেছেন-‘শুভ জন্মদিন প্রিয় ভাইয়া।। আমার দেখা মতে একটা মানুষ আপনি অন্যায় দেখলে তার বিরুদ্ধে লিখতে কখনও অলসতা করেন না।। অন্যায়কারী কে?? কি করে? হয়তো অনেক বড় মানুষ ।। অনেকে হয়তো ওদের সাথে লিয়াজু বা ভয় পেয়ে তাদের নামে কিছু বলে না বা লিখে না।। কিন্তু আপনাকে দেখছি অনেক জনের সাথে আপনার খুব ভালো সম্পর্ক ছিলো কিন্তু তারা যখন অন্যায় করে তখন আপনি তাদের এক বিন্দু ও ছাড় দেননি।। তাদের বিরুদ্ধে আপনার কলম অনবরত লিখে গেছে।। লাভ ইউ ভাইয়া।। মাঝে মাঝে আমাদের ভূল গুলো আমাদের দেখিয়ে দেন একজন অভিভাবক এর মত এটা করিস না ঐটা করিস না।।। আপনার এই বিশাল মনের এক পাশে আমার জন্য একটু জায়গা রেখে দিবেন।। ভালোবাসি ভাইয়া।। আপনার আগামী দিন গুলো সুন্দর ভাবে কাটুক এই কামনা করি শুভ জন্মদিন ভাইয়া ।।’

নূর-এ আলম। রাঙামাটি জেলা ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক। তিনি লিখেছেন-‘সবসময় এমনই থাকিয়েন যেমন আছেন।। মানুষের বড় অভাব।। উদাহরণ হয়ে ওঠেন।। সকল ভালোত্বের তুলনা হোক আপনার সাথে।। ??শুভ জন্মদিন?? প্রিয় বড় এলাহী ভাই।।’

মৃণাল কান্তি তঞ্চঙ্গ্যা। তরুণ আওয়ামীলীগ নেতা। আস্থা আর নির্ভরতায় লিখেছেন-‘এ শহরে আমার গুটিকয়েক শুভাকাঙ্খীদের একজন। প্রিয় এলাহী ভাই? জন্মদিনের শুভেচ্ছা।’

রাজীব বঙ্গবন্ধুর সৈনিক নামেই পরিচিত সাবেক ছাত্রলীগ নেতা রাজীব। তিনি লিখেছেন-‘শুভ জন্মদিন ?প্রিয় বড় ভাই, সৎ সাহসী সাংবাদিক, অন্যায়ের বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ কন্ঠস্বর,প্রতিবাদী নিরহংকারী সদালাপী সাদামনের অসাধারণ ব্যক্তি,আমাদের অত্যন্ত প্রিয় অভিভাবক, পার্বত্য চট্টগ্রামের কৃতি সন্তান, দৈনিক পার্বত্য চট্টগ্রাম এর সম্পাদক,
পার্বত্য চট্টগ্রামে অনলাইন নিউজ পোর্টালের প্রথম উদ্যোক্তা ও কারিগর Pahar24.com প্রতিষ্ঠাতা / প্রধান ফজলে এলাহী???
সাহসীকতার সঁহিত এগিয়ে যান আর ছোট ভাই হিসেবে সবসময়ই আপনার পাশে আছি ছিলাম থাকবই ইনশাআল্লাহ, আল্লাহ আপনাকে সুস্বাস্থ্য সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু দান করুক, আমিন।’

সালাউদ্দিন সুমন।সহসভাপতি রাঙামাটি জেলা ছাত্রলীগ। তিনি লিখেছেন-‘কবির লেখা যত কবিতা,শিল্পীর আঁকা যত ছবি,তোমার তুমির কাছে ,হার মেনে যায় যেন সবই, শুভ জন্মদিন প্রিয় ফজলে এলাহী ভাই,নিরন্তর শুভ কামনা?

লোকমান হোসেন। পেশায় শিক্ষক। বন্ধুর জন্মদিনে তিনি লিখেছেন-‘প্রতিটি জেলা , উপজেলায় এমন একজন নির্বিক ফজলে এলাহি দরকার এ দেশে ৷ সমাজের রন্দ্রে রন্দ্রে লুকিয়ে থাকা কুলোষিত দূর্নীতির চিত্র তুলে ধরতে বার বার ফিরে আসিস এই দেশে ৷ শুভ জন্মদিন বন্ধু  ‘

ঝুলন দত্ত। সাংবাদিক ও সংস্কৃতিকর্মী। তিনি লিখেছেন-‘যার সাহসী লেখনী আমাকে মুগ্ধ করে, যার সত্য বলার সাহস আমাকে অনুপ্রাণিত করে, যার কলম সবসময় নিপীড়িত মানুষের কথা বলে। প্রিয় ফজলে এলাহী: শুভ জন্মদিন।।’

জিনাত আমান। স্কুলবেলার বন্ধু। নিজের ছোটবেলার সখাকে নিয়ে লিখেছেন হৃদয়গ্রাহী এক শুভেচ্ছাবার্তা-‘অসম্ভব রকম মেধাবী, পরোপকারী,স্বাধীনচেতা,উদার মনের এক ছেলের আজ জন্মদিন।দীর্ঘ ২৫ বছর পর সে বন্ধুত্বের টানটা নতুন করে উপলব্ধি করিয়েছে,সেজন্য তার কাছে আমরা সকলে আজীবন ঋণী হয়ে থাকলাম। অন্তরের অন্তস্থল থেকে তাকে জানাই নিখাদ ভালবাসা। আজ দিনটা শুধুই তোমার। শুভ জন্মদিন এলাহী। ভালো থাকে সবটা সময় জুড়ে।’

আরজ হোসেন সুমন। তরুন ব্যবসায়ি ও রাজনৈতিক কর্মী। ভালোবেসে লিখেছেন-‘শুভ জন্মদিন প্রিয় বড় ভাই কলমের সৈনিক।আপনার ভালোবাসায় আমি শিক্ত সবসময় ভালো কিছু করার উপদেশটা পেয়েছি ভাই আপনার কাছে। আপনার সুস্হতা কামনা করি ।’

রিফাত মুনির। বড়বোন। নিজের ছোট ভাইয়ের জন্মদিনে লিখেছেন-‘পৃথিবীতে কিছু সুন্দর কাজ হয়,পৃথিবীতে কিছু সুন্দর মানুষ আছে বলেই। ভাই, প্রার্থনা করছি, আমৃত্যু যেন বলে যেতে পারি, স্রোতের বিপরীতে দাঁড়ানো এলাহি সেই সাহসী সুন্দরের নাম…শুভ জন্মদিন…’

জাহাঙ্গীর আলম অপু। ছোটভাই ও রাবিপ্রবি শিক্ষার্থী। বড়ভাইকে ভালোবেসে লিখেছে-‘শুভ জন্মদিন স্পষ্টভাষী, সাহসী, সততা, নিষ্ঠাবান, দেশপ্রেমী,রাঙ্গামাটি শহর প্রেমী সাংবাদিক, লেখক ভাই আমার।আগামীর জন্য অনেক অনেক শুভকামনা প্রিয় ফজলে এলাহী ভাই,? ভালোবাসা নিরন্তর….।’

রাজা পালিত। তরুন সংগঠক। ভালোবাসায় শ্রদ্ধায় জানিয়েছে ভালোবাসা-‘শুভ জন্মদিনে অফুরন্ত শুভ কামনা ? প্রিয় রাঙ্গামাটির প্রিয় মুখ, ভালো লাগার, ভালবাসার প্রিয় ব্যাক্তিত্ব, অকুতোভয় কলম সৈনিক,সমাজের নিপীড়িত, নির্যাতিত, অবহেলিত, অসহায়, মানুষের জন্যে প্রতিবাদী কন্ঠস্বর, ফজলে এলাহী ভাই

নজরুল ইসলাম। সদর থানা ছাত্রলীগের সভাপতি। লিখেছেন-‘শুভ জন্মদিন, প্রিয় ফজলে এলাহি ভাই
আপনার কলম চলে সবসময় সত্যের পক্ষে,আশা রাখি আগামীতেও চলবে, ভালো থাকবেন ভালো রাখবেন,সব সময় আপনার জন্য শুভকামনা।

মুমু দত্ত। ছোটবোন। দাদাকে ভালোবেসে লিখেছে-‘শুভ জম্মদিন ফজলে এলাহী ভাই, যেমনি আছেন তেমনি থাকবেন,সবাইকে নিয়ে ভালো থাকেন, এই শুভ কামনা রইলো….’

কাইমুল ইসলাম ছোটন। ছোটভাইটা তার বড় ভাইয়ের জন্মদিনে লিখেছে-‘এই বামনদের দেশে মাথা উঁচু করে বেঁচে থাকা একজন মানবিক মানুষ, ‘সাংঘাতিক সম্বাধিকদের’ দেশে একজন পুরোদস্তুর সত্যিকারের সাংবাদিক।আমার দেখা, ভরপুর প্রাণের একজন সাংবাদিকের মহান জন্মদিবস । আমরা তার আশেকান। পৃথিবীতে শান্তি ফিরলে ভক্তদের একবেলা পেটভরে খাওয়ায়েন।কি বলেন Ashim Das Gupta ভাই,শুভ জন্মদিন প্রিয় ফজলে এলাহী ভাইয়া ।জন্মদিনে আপনার দীর্ঘায়ু ও সুস্বাস্থ্য কামনা করছি। আজীবন আপনার ছোট ভাই হিসাবে রাখিয়েন।
একটু দেরিতে পোস্ট করলাম। শুভ জন্মদিন প্রিয় ভাইয়া’

চৌধুরী হারুনুর রশীদ। সিনিয়র সাংবাদিক। অভিমানী কন্ঠে লিখেছেন-‘পাহাড়ের আপোষহীন সাহসী জনপ্রিয় ও আলোচিত সাংবাদিক ফজলে এলাহীর শুভ জন্মদিনে“যখন তোমার কেউ ছিল না,তখন ছিলাম আমি-এখনতো সব হয়েছে ,পর হয়েছি আমি !’

এমন হাজারো মানুষের ভালোবাসায় ভেজা এক জন্মদিনের পুরো চিত্র তুলে আনা অসম্ভব। শত শত স্ট্যাটাস থেকে চোখে পড়া ব্যতিক্রমি গুটিকয়েককে তুলে ধরলাম, নিজেকে জানব বলে,জানাব বলে, আরো শাণিত ও শোধরাব বলেই…….ভালোবাসা সবার জন্য,কৃতজ্ঞতা-শ্রদ্ধা অবিরাম…………আমি বুঝে গেছি, এইসব ভালোবাসা মিথ্যে নয়…..

 

( নোট : লেখার মৌলিকতা ঠিক রাখতে প্রত্যেকের স্ট্যাটাস হুবহু রাখা হলো)

Check Also

বাড়ীর পাশে আরশীনগর : চেনা রেঙ্গুন-অচেনা ইয়াংগুন

সিদ্ধান্তটা সাহসীই ছিলো বৈকি, দুই প্রতিবেশী দেশের বৈরিতা আর ঘৃণার বাতাস যখন বেশ প্রবলভাবেই বহমান, …

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

9 − 9 =