বেপরোয়া সাহস,দুর্বীনিত স্বভাব ছাড়া পরিচয় দেয়ার মতো তেমন কিছুই নাই আমার। লিখতে ও বলতে ভালোবাসি,রুখে দাঁড়ানো আজন্মের স্বভাব। আদর্শের চোরাবালিতে বন্দী না থেকেও স্বপ্ন দেখি স্বপ্নের সাম্যের পৃথিবী। ছাত্রজীবনে ছাত্র ইউনিয়নের সক্রিয় কর্মী ছিলাম সাত বছর। ছাত্রত্ব শেষ,রাজনীতিও। কিন্তু স্বপ্ন বেঁচে আছে,পাল্টে দেয়ার প্রত্যয়ে…
মুক্তিযুদ্ধ,বাংলাদেশ আর অসাম্প্রদায়িকতার প্রশ্নে আপোষ করতে শিখিনি কোনদিন। কারো ধর্ম কিংবা ধর্ম চর্চা নিয়ে কটুক্তি করাকে ঘৃণা করি,শ্রদ্ধা জানাই সব মত পথ আদর্শের মানুষকেই।
‘বড়দের সম্মান দিলেই,ছোটদের কাছ থেকে সম্মান মেলে’-এই আপ্তবাক্য বিশ্বাস করি কঠোরভাবে।
পড়াশুনার গন্ডিটা বেশিদূর নয়,যতটুকু আছে,তা আরো বহুদূর যেতে পারতো। কিন্তু তা যেহেতু হয়নি,সব জানাশোনাটা পৃথিবীর পাঠশালা থেকেই শেখা। অর্থনীতি,রাষ্ট্রবিজ্ঞান হয়ে আইনে শেষ হওয়া পড়াশুনাটায় অতৃপ্তি রয়েই গেছে। তবুও পড়ছি আজো,বাবার তৈরি করা পড়ুয়া মনটাকে নিয়ে। এখনো রাতজেগে বই পড়াটাই প্রাত্যহিকতার সবচে গুরুত্বপূর্ণ কাজ।
হুম,লিখি…টাকার জন্য না,মনের তাগিদে। সেই ছোট্ট বেলা থেকে। কবিতা হয়ে গদ্য,প্রবন্ধ আর ভিন্নলয়ের কিছু লেখা। তিনটা কবিতার বইও আছে। বেঁচে থাকলে আরো বই আসবে।
সাংবাদিকতা পেশা। তবে প্যাশনও। রক্তের ভেতরেই টগবগ করে একজন মোনাজাতউদ্দিন। সাংবাদিকতা করেই চিনেছি কে শত্রু,কে বন্ধু। সব জাতীয় ও আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলের সাথে কমবেশি টক্কর লেগেছে দুই দশকের সাংবাদিকতা জীবনে। মামলা-হামলা-হুমকি এসব মুড়ি মুরকি হয়ে গেছে সেই কবে। তবুও জীবনের শেষদিন পর্যন্ত সাংবাদিক পরিচয়টি বহন করতে চাই। এই পেশাই আজকের আমাকে নির্মাণ করেছে।
পূর্বপুরুষ লক্ষীপুর জেলার বাসিন্দা হলেও আমার বেড়ে উঠা খাগড়াছড়ি আর রাঙামাটির সবুজ পাহাড়ে। হ্রদ পাহাড়ের ভালোবাসায়,স্নেহে বেড়ে উঠা এই আমি জানি,পাহাড়ের বেদনার গল্প,অবিশ্বাস আর হিংসার কাহিনী। লড়ে লড়েই শিখেছি,জীবনের বহতা নদীর চলাটা অত সহজ নয়…….ছোট্ট এক কিশোর তারুণ্য পেরিয়ে চল্লিশের কোটায় এসে পেছনে তাকিয়ে দেখে, জীবনের দীর্ঘপথই তো ফেলে আসা হয়ে গেছে ! কিছুই তো করা হলোনা একজন ফজলে এলাহী’র ! আহ্ জীবন………ফের একবার যদি……
অসাধারন,
মানুষের মত বা আদর্শের পার্থক্য থাকতে পারে…
কিন্তু আপনার লেখা আমি মুগ্ধ হয়ে পড়ি/
দাদা আপনার হাতে কি যাদু আছে জানিনা।আপনার কবিতাগুলো যত পড়ি ততই মুগ্ধ হয়ে যায়।আমার প্রিয় লেখকের পাশে আপনি একজন।